মাতব্বরদের সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ ॥ প্রভাবশালীদের চাপে মামলা করতে পারেনি ভিকটিম পরিবার
চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনে দুলারহাট থানায় নীলকমল ইউনিয়নে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় মাতাব্বরদের সমঝোতার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ৩২ দিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাতাব্বরদের চাপে অসুস্থ কিশোরীকে চিকিৎসা করাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ভিক্টিমের মা। গতকাল বুধবার সকালে ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে ধর্ষক মোঃ শাহিন নামের একযুবকসহ অপর সহযোগি তিন জনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করেন। গত১২ ডিসেম্বর নীলকমল ইউনিয়নের নজির মাঝিরহাট এলাকায় ধর্ষককের আত্বীয়ের বাড়িতে এঘটনা ঘটে। ধর্ষক শাহিন ওই ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামের মো. হাফেজ উল্লাহ বাহারের ছেলে। বাদীনি ও মামলা সুত্রে জানাযায়, তার কিশোরী কন্যা স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীতে পড়েন। দুলারহাট বাজার সংলগ্ন কোচিং সেন্টারে আসা-যাওয়ার পথে ওই যুবক শাহিন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। এবং কিশোরী কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একধিকবার ধর্ষণ করেন। কিশোরী তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তালবাহানা শুরু করেন যুবক শাহিন। পরে বিয়ে করবেন বলে আবারও দৈহিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। কিশোরী কন্যা তার প্রস্তাবে রাজি না হলে ঘটনারদিন গত ১২ ডিসেম্বর তার কিশোরী কন্যা স্কুলে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষক শাহিন ও তার সহযোগি শামিম, মোঃ হাফেজ তার কিশোরী কন্যাকে রাস্তার ওপর থেকে চেতনা নাশক ঔষাধ মাখা রুমাল নাকে দিয়ে অচেতন করে তুলে নিয়ে যান। সন্ধ্যা গড়িয়ে এলে তার মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তিনি বিষয়টি দুলারহাট থানা পুলিশকে জানান। এবং থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। পরে থানা পুলিশের সহয়াতায় নারী ইউপি সদস্যে শাহিদার বাড়ি থেকে রক্তাক্তবস্থায় মেয়ে উদ্ধার করেন। পরে কিশোরী কন্যা মাকে জানান ধর্ষক শাহিন নিকট আত্বীয়ের বাড়িতে অপর আসামীদের সহযোগিতায় তাকে অচেতন করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এবং রক্তাক্তবস্থায় তাকে নারী ইউপি সদস্যের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ফেলে চলে যায়। তিনি বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বরদের জানানোর পর মাতাব্বরা অভিযুক্তদের পক্ষে প্রভাবিত হয়ে সমঝোতার চাপ দেন। প্রভাবশালী মাতাব্বরদের চাপের মুখে অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসা করাতে দেই। এবং মামলা করতে পারেনি তিনি। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে সমঝোতা থেকে মাতাব্বরা সটকে পরেন। পরে তিনি কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করেন। সমঝোতার বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্যা কালাম জানান,বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে ভিক্টিম পরিবার আসছিলেন। তবে ঘটনাটি সমঝোতার যোগ্য নয় বলে তাদেরকে আইনি আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শাহিদা জানান,কিশোরী মেয়েটিকে আমার বাড়ি সংলগ্ন দোকানের কাছে ফেলে গেলে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তাকে উদ্ধার করে আমার বাড়িতে এনে রেখেছি। দুলারহাট থানার ওসি মো. মোরাদ হোসেন জানান, এঘটনায় ভিক্টিমের মা বাদী ধর্ষক শাহিনসহ সহযোগি আরো দুই জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply